স্বদেশ ডেস্ক:

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই ইউপি মেম্বর প্রার্থীর সমর্থদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ২০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিনে গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে বেতমোর ইউনিয়নের ৩ন ম্বর ওয়ার্ডে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এঘটনায় ইউপি প্রার্থীসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।  আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন-ইউপি মেম্বর প্রার্থী মোদাচ্ছের হোসেন (৬২), আল-আমিন মিস্ত্রী (৫০) ও মিরন হোসেন (২৪)। প্রার্থী মোদাচ্ছের হোসেনকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতাল থেকে আটক করা হয়।

আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাত ১১টার দিকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাননান্তর করা হয়েছে। হাসপাতাল ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, ইউপি নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিনে উপজেলার বেতমোর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পিরু শিকদার (তালাচাবি) ও মোদাচ্ছের হোসেন হাওলাদারের (ফুটবল) সমর্থকরা প্রচারণা শেষে তালাচাবি প্রতীকের মাইক ভাঙচুর করে। এর পরে উভয় পক্ষের উত্তেজনা দেখাদিলে দুই পক্ষ সশস্ত্র সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুই পক্ষের ২০ জন সমর্থক আহত হন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হলেন, তালাচাবি প্রতীকের মো. কামাল হোসেন (৪৫), মো. রুহুল আমিন (৪৭),  মো. শহিদুল ইসলাম বাবুল শিকদার (৪৫), ফারুক শিকদার (৪৫) রাজ্জাক হোসেন রাজু (২২) ও ফুটবল প্রতীকের সমর্থকরা হলেন, ইউপি মেম্বর প্রার্থী মোদাচ্ছের হোসেন (৬২), মো. আমির হোসেন (৫৬), মো. আল-আমিন (২৮), মো. হানিফ (৪৫), মো. মিলন (২৫), মো. মুছা (২১), এমাদুল হক (৫০), মো. শামসুল আরম (৬০), মো. জহিরুল শিকদার (২৫), মো. হারুন-অর-রশিদ(৬৫) প্রমুখ। এদের মধ্যে গুরতর আহত অবস্থায় মো. আমির হোসেন, মো. হানিফ, মো. কামাল হোসেন, ফারুক শিকদার ও রাজ্জাক হোসেন রাজুকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাননান্তর করা হয়েছে।

এ ঘটনায় বেতমোর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।  মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)নুরুল ইসলাম বাদল বলেন, ‘দুই মেম্বর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনায় এক প্রার্থীসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। ’